রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঘাতকের গুলিতে নিহত সৈয়দ জামাল মিয়ার স্ত্রী – সন্তানদের আহাজারিতে আকাশ- পাতাল ভারি হয়ে ওঠছে। স্বামীর জন্য স্ত্রীর কান্না, বাবার জন্য সন্তানদের কান্না যেন থামছে না। অবুঝ সন্তানরা মায়ের কাছে বাবার কথা বার বার জিঞ্জাসা করছে। রোববার সরেজমিন উপজেলার সৈয়দ পুর গ্রামে নির্মম হত্যার শিকার সৈয়দ জামাল মিয়ার বাড়ীতে গেলে এক করুনদৃশ্যের অবতারনা হয়। কান্নাজড়িত কন্ঠে নিহত জামাল মিয়ার স্ত্রী উমায়মা বেগম সিলেটভিউ কে বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার নিরপরাধ স্বামী কে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করলো । আমার অবুঝ দুটি শিশু বাবা বাবা বলে চিৎকার করে কাদঁছে । তাদেরকে কিভাবে শান্তনা দেব। নিহতের স্ত্রী উমায়মা বলেন, আমার স্বামী, ৬ বছরের মেয়ে সৈয়দা আফছানা ও ৪বছরের ছেলে সৈয়দ আফছান কে নিয়ে আমার সুখের সংসার ছিল কিন্তু ঘাতকরা আমার স্বামী কে হত্যা করে আমার সকল আশা ধুলিসাৎ করে দিলো। তিনি তার স্বামী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেফতার ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোরদাবী জানান।
হত্যাকান্ডের প্রায় দু সপ্তাহ হতে চললেও সন্ত্রাসী দের গুলিতে নিহত সৈয়দ জামাল মিয়া ( ৩৮) হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি ব্যাবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে একাধিক স্হানে অভিযান চালিয়েছে।
এদিকে জামাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ছোট ভাই হোসাইন মিয়া বাদী হয়ে স্হানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান সহ ৫ জন কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানূর রহমান বলেন, আসামী দের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামে গত ২৮ এপ্রিল রাত প্রায় ৯টার দিকে ওই গ্রামের সৈয়দ আনহার মিয়ার ছেলে সৈয়দ জামাল মিয়া তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে একিই গ্রামের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দের গুলিতে গুরুত্বর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় জামাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সৈয়দ আনহার মিয়া,সৈয়দ আমিন মিয়া ভাই সৈয়দ হোসাইন আহমদ সহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।
Leave a Reply